উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন চবির ৩ শিক্ষার্থী
কক্সবাজার, ৮ জুলাই (নিজস্ব সংবাদদাতা):
কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে বিকেলে সাঁতার কাটতে নামাকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তিন শিক্ষার্থী উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যান। সোমবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে নিখোঁজের খবর পাওয়া পর থেকে গভীর স্রোতে আটকা পড়া তাদের উদ্ধারে জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জেলেরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় একজনের—কে এম সাদমান রাহমানের—মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা ও শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন আবাসিক হলের নিবাসী ছিলেন। উদ্ধারকাজে সরকারী কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল, জেলা পুলিশের স্পেশাল টিম ও স্থানীয় জেলেদের দৃষ্টান্তমূলক সমন্বয় দেখা গেছে।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চবির সহকারী প্রক্টর সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী জানিয়েছেন, “সাদমানসহ চার বন্ধু নিজ উদ্যোগে কক্সবাজার আসেন। হিমছড়ি পয়েন্টে উত্তাল ঢেউয়ের মাঝেই তারা তিন জন সাঁতার কাটতে নেমে আটকে যান। উদ্ধার‑উদ্যোগে আমরা প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি, পরিবারকে দ্রুত জানানো হয়েছে।”
নিখোঁজ অন্য দুই শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ ও অরিত্র হাসানের বাড়ি বগুড়ায়। তাদের সম্পর্কে ডেপুটি রিসিডেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আলী জানান, “রাতভর এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ তল্লাশি ও ড্রোন অবতরণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সন্ধান মেললে দ্রুত তাদের পরিবারকে জানানো হবে।”
হিমছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সোমনাথ বসু বলেন, “স্রোতের প্রবল গতি ও অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকার্য প্রথমে বাধাগ্রস্ত হয়; তবে ভোরের আলোয় তল্লাশি ত্বরান্বিত করা হয়েছে। সি‑গার্ডসহ সকল সংস্থার সহায়তায় এখনও কাজ চলছে।”
কক্সবাজার পর্যটন বিভাগের বিগত তিন বছরের হিসেব অনুযায়ী, হিমছড়ি পয়েন্টে আকস্মিক স্রোত সৃষ্টি হয়ে প্রতি বছর পর্যটক উদ্ধারে সরকারি এজেন্সিগুলোকে সক্রিয় হতে হয়। যদিও জীবণরক্ষী টাওয়ারের ব্যবস্থা আছে, লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক বিধি সর্বদা মানা হয় না।
চবির প্রক্টরiate অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে এবং নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে সরকারি অনুদান ও সমবেদনা প্রদান করবে। এছাড়া বিপদ এড়াতে শিক্ষার্থীদের গ্রুপভিত্তিক ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলার উপর পুনর্বার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সাগরে ভেসে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর — আসিফ আহমেদ ও অরিত্র হাসান — সন্ধানে স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল যৌথভাবে তৎপর রয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে; সমুদ্রের করাল স্রোত আর অন্ধকার কাটিয়ে যেন তারা ফিরে আসেন, এ প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের অধীর আগ্রহ।
আরো দেখুনঃ কলেজের নতুন নাম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা
শিক্ষকদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের আহ্বান
এসএসসি পরীক্ষার ফল দেখবেন যেভাবে
অনলাইন ক্যারিয়ার গঠন সহজ পদ্ধতি দেখুন
উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন উত্তাল সমুদ্রে নেমে ভেসে গেলেন

